চেহারায় ভিন্নধর্মী লুক আনতে ব্যান্ড

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:০১ পূর্বাহ্ণ

ফারজানা ওয়াহিদ

band3

সাধারণ জিনিসেই ফুটিয়ে তোলা যায় অসাধারণত্ব। স্টাইলের পুরনো কিছু সাজ আবারও ফিরে এসেছে নতুন ভাবে, নতুন রূপে। বাঙালি নারীদের চুলের অন্যরকম সাজ ব্যান্ড। সাধারণত মাথার চুল আটকে রাখার জন্যই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। যে কোনো কিছুর মাধ্যমেই তৈরি করে ফেলা যায় চুলের স্টাইল।

band2চুলকে নানাভাবে সাজাতে পছন্দ করেন বাঙালি নারীরা। নারীদের এ চুলের  জন্য আমাদের দেশে রয়েছে সাজের নানা উপকরণ। ব্যস্ত নারীদের ইদানীং  ব্যান্ড দিয়ে চুল সাজানোর প্রচলন খুব বেশি দেখা যাচ্ছে।

ব্যান্ড ছোট ও বড় উভয় চুলেই সমান মানানসই। হালকা বেণি, ফ্রেঞ্চ বেণি ও ঝুঁটি করে ব্যান্ড পরে নিলেই হবে। যে কোনো পোশাকের সঙ্গেই ব্যান্ড মানানসই। তবে বয়সের সঙ্গে মিল রেখে পরলেই বেশি ভালো লাগবে। পোশাক ও অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই ব্যান্ডই পরা উচিত।

শুধু ব্যান্ড ব্যবহার করেও চেহারায় পরিবর্তন আনা যায়। চেহারায় ভিন্নধর্মী লুক আনতে জুড়ি নেই ব্যান্ডের। চেহারার গঠনের সঙ্গে মিল রেখে ব্যান্ড পরা উচিত।

band5লম্বাটে চেহারার অধিকারীরা ব্যান্ড পরার সময় পাশ দিয়ে কিছুটা চুল বের করে রাখবেন। এতে চেহারার লম্বা ভাবটি কেটে যাবে। কপাল বড় থাকলে তাও ঢেকে যাবে। একইভাবে পরবেন গোল কিংবা ফোলা গালের অধিকারীরা। সামনের দিক দিয়ে অথবা গালের দুই পাশ দিয়ে চুল থাকলে ভালো লাগবে। ছোট মুখ যাদের, তারা সব চুল পেছনে টেনে নিয়ে পরবেন।

কোঁকড়া চুলের আছে আলাদা সৌন্দর্য। ব্যান্ড পরলে এতে যোগ হয় আলাদা মাত্রা। কপাল থেকে সব চুল টেনে পরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, কপাল ও ব্যান্ডের মধ্যে দূরত্ব যেন একদমই না থাকে। কপাল থেকে খুব বেশি পেছনে চলে না যায়। অর্থাৎ ব্যান্ড কপালের কাছাকাছি পরতে হবে।

band4আকৃতি ও ব্যবহারের দিক থেকে ব্যান্ডের নামেরও আছে ভিন্নতা। ব্যান্ডের নাম বলতে গেলে নানা নামের চুলের ব্যান্ড রয়েছে। কিছু কিছু নামের বর্ণনা দেওয়া হলো  চুলের পেছনের কাঁকড়া ব্যান্ড, চুলের সামনের রাউন্ড ব্যান্ড, চুলের একপাশে টিপ ক্লিপ, চুলের মাঝের চিরুনি ব্যান্ড, চুলের খোঁপার বাঁশের কাঁটা ব্যান্ড, অক্সিডাইজের ব্যান্ড, রুপার ব্যান্ড, স্টিল চিমটি ব্যান্ড, ছোট চিমটি ব্যান্ড, প্রজাপতি ব্যান্ড, চিংড়ি ব্যান্ড, পাথরের বেণি ব্যান্ড, চুলের বড় খোঁপার মধ্যে গোলাপ ব্যান্ড, চটের টুপি ব্যান্ড, ঝিনুকের কাঁটা ব্যান্ড, কাঁচের চুনি ব্যান্ড, পাথরের ঝুনঝুনিসহ নানা বাহারি নামের ব্যান্ড রয়েছে।

band1এই সব ব্যান্ড পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা শহরসহ গ্রামগঞ্জে সর্বত্রই। গ্রাম ও শহরের পথে পথে ফেরিওয়ালারা ফেরি করে বিক্রি করছেন বাহারি সব চুলের ব্যান্ড। রাজধানী ঢাকার নামিদামি শপিং সেন্টারে কসমেটিকসের দোকান, ফুটপাত, রাস্তার পাশের দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে নানা আকার ও বিভিন্ন রঙের সুন্দর সুন্দর চুলের ব্যান্ড।

চুলের ব্যান্ডের মূল্য ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের ব্যান্ডও পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্যান্ডের সৌন্দর্য মজবুত ও আকার অনুযায়ী এর মূল্য একটু বেশি। এই ব্যান্ড বানানো হচ্ছে ঢাকার চক এলাকায় ইসলামপুর, বিক্রমপুর এবং নারায়ণগঞ্জসহ কিছু কিছু জায়গায়। ব্যান্ডগুলো নানা উপাদান দিয়ে কারখানায় কারিগররা তৈরি করছেন। অল্প সময় চুল সাজের জন্য ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা অনেক।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G